বাবা - ট্যাক্সি ড্রাইভার বয়স ৩৮, ভিন্ন মানুষের তীর্যক মন্তব্যে জীবন হতাশায় ভরে গিয়েছিল। কেউ বলত সামান্য ঝাড়ুদারের কাজও পাবি না। নানা পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে শেষে কামাল হোসেন স্যারের কাছে এসে প্রথমে বুঝলাম কী করব আর কী করব না। ফোন ব্যবহার ছাড়লাম। স্যারের কাছে প্রায়ই আসতাম, টিপস ও পরামর্শ দিতেন - যা চোখে জল এনে দিত - পড়ায় ডুবে থাকতাম। ৮৫ টার মধ্যে ৬৫ টা উত্তর করেছিলাম।
নিজেই সংসার চালাই, বয়স ৩৭ নিঃস্ব গরীব ছিলাম বলে বহু মানুষ মানসিক অত্যাচার করত। তুই অপদার্থ, টাকা ছাড়া পাশ হয় না ইত্যাদি। বর্ষার রাতে ঘরে জল ঢুকতো, খাওয়ার সমস্যাও হতো। এমতবস্থায় কামাল হোসেন স্যারের স্নেহ ও মনোবলের কৌশল আমাকে নতুন উদ্যোমে পড়তে সাহায্য করেছে। ওনার কাছে এসে প্রায় দিনই খেতাম আর পড়তাম।
সংসারের দায়িত্ব ও ভিন্ন মানুষের নানা মানসিক অসহযোগীতা আমাকে খুব কষ্টে রেখেছিল। এমতবস্থায় কামাল হোসেন স্যারের কাছে পড়তে এসে খুব পড়ার চাপ ও মানসিক ছন্দে ফিরলাম। এই বয়সেও সফল হব তা অনুভব করালেন স্যার। বললেন "চাকরি করাটাই তোমার যোগ্য জবাব হবে নিন্দুকদের”। উনি আমার মতো হতাশগ্রস্থদের অন্যতম সেরা শিক্ষক।
বাড়ি বাড়ি পূজা করি জীবনে কীভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, তা কামাল হোসেন স্যারের কাছ থেকে শিখেছি। সবার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য খুব পড়তাম স্যারের কৌশল মেনে। আর্টসের ছেলে হয়েও এখানে অঙ্ক খুব সহজে হাতে কলমে শিখেছিলাম। জি.কে. মনে রাখতে কামাল হোসেন স্যারের স্মার্ট শর্টকাট অসাধারণ